মাজহারুল মিচেল: [৩] ঢাকায় সফরে আসা মার্কিন কংগ্রেসম্যান রিচ ম্যাককরমিক ও এড কেইস রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।

[৪] তিনি বলেন, কংগ্রেসম্যানরা বলেছেন, তোমরা চীনের ভেতর চলে যাচ্ছো। জবাবে আমরা বলেছি, চীনের ঋণের ফাঁদে যাচ্ছি না। আমরা চীন থেকে ঋণ নিয়েছি ১% এর মতো। এটা কোনো বড় ইস্যু নয়। মনস্তাত্বিকভাবে আমরা অবাধ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। 

[৫] তবে আমার মনে হয়, মার্কিন প্রতিনিধিদের কাছে বিভিন্ন লোকজন বলেছে, বাংলাদেশ একটা ভয়ঙ্কর জায়গা, এরা চায়নার খপ্পরে পড়ে গেছে এবং গোলাম হয়ে গেছে। 

[৬] তিনি বলেন, নিজের তাগিদে আমরা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন। কারণ আমরা জনগণের সমর্থনে আছি। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাস করে, নির্বাচনমুখী দল।

[৭] তারা (কংগ্রেস সদস্য) বলেছে, তোমাদের কোনো সমঝোতার পথ আছে কি না ওদের (বিএনপি) সঙ্গে। আমরা বলেছি, তাদের যে দাবি, সরকারের পদত্যাগ, ওটাতে সমঝোতার কোনো স্কোপ নেই।

[৮] যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করে কিনা, মার্কিন দুই কংগ্রেস ম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন ড. মোমেন। এরকম ডিমান্ড (বিএনপির যে চাওয়া) থাকলে তোমরা কি আলোচনায় বসবে? ওগুলোর প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করবো।

[৯] মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা বাণিজ্য ও অর্থনীতি, রোহিঙ্গা প্রতিক্রিয়া, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

[১০] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেবলমাত্র গভীর ও প্রশস্থ হওয়া উচিত। 

[১১] বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ প্রসারিত এবং বৈচিত্র্যময় হবে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন। 

[১২] ড. মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ইস্পাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থনও চান। 

[১৩] প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য প্রশংসা করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বারোপ করেন। সম্পাদনা: এল আর বাদল